বাঙালি রান্না মানেই একটু অন্যরকম স্বাদ এবং অন্যরকম রেসিপি। সারা পৃথিবী জুড়েই বাঙালি রান্না রেসিপির সুনাম রয়েছে। শুধু ভারত এবং বাংলাদেশেই নয় বাঙালি জাতি ছড়িয়ে রয়েছে পৃথিবীর সমস্ত দেশেই। আর পৃথিবীর প্রায় সমস্ত দেশেই রয়েছে বাঙালি খাবারের রেস্তোরা। আজ আমি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব ৫ টি সেরা বাঙালি রান্নার রেসিপি।
১. সর্ষে ইলিশ রান্নার রেসিপি :
বাঙালি রান্নার মধ্যে সর্ষে ইলিশ সবচেয়ে খাস এবং সুস্বাদু রেসিপি। চলুন দেখে নিয়ে সর্ষে ইলিশ কিভাবে বানাতে হয়।
উপকরণ :
১. ৫ থেকে ৬ পিস্ ইলিশ মাছ (ইলিশের মাছের মাঝের পিস্ নেবেন)
২. সর্ষে পাউডার বা বাটা ২ চামচ
৩. পোস্ত বাটা ১ চামচ (অপশনাল)
৪. ৫ থেকে ৬ টি লঙ্কা বাটা বা আপনি যেমন ঝাল খেতে পছন্দ করেন সেই অনুযায়ী
৫. জিরে বাটা ১ চামচ
৬. হলুদ পরিমানমত
৭. লবন পরিমানমত
৮. সর্ষের তেল পরিমান মত
৯. আস্ত জিরে এক চামচ
সর্ষে ইলিশ রান্নার প্রণালী :
সর্বপ্রথমে কাটা ইলিশ মাছ ভালোকরে ধুয়ে ওর উপর একটু হলুদ, লবন ও সর্ষের তেল মেখে নিন। এবার কড়াইতে পরিমানমত সর্ষের তেল দিয়ে গরম করুন। এবার ইলিশ মাছ গুলিকে কড়াইতে দিয়ে হালকা ভেজে নিন। কাঁচা মাছের সর্ষে বাটা করতে চাইলে মাছ ভাজবেন না। কিন্তু মাছে লবন, হলুদ ও তেল মেখে রাখবেন।
এবার কড়াইতে পরিমান মত সর্ষের তেল গরম করে ওর মধ্যে এক চামচ জিরে ফোড়ন দিন। জিরে হালকা লাল হয়ে গেলে ওর মধ্যে জিরে বাটা, লঙ্কা বাটা, পোস্ত বাটা, লবন ও হলুদ দিয়ে হালকা ভেজে নিন। হালকা লাল হয়ে এলে ওতে ৩ থেকে ৪ কাপ জল যোগ করুন।
ঝোলটা একটু ফুটে এলে ওর মধ্যে পরিমানমত লবন এবং হলুদ গুঁড়ো দিন তার পর এক থেকে দুই মিনিট পর ইলিশ মাছগুলো দিয়ে দিন। এবার একটি পাত্রদিয়ে ঢেকে ৩ থেকে ৪ মিনিট জ্বাল দিন।এখন ঢাকনা তুলে ওর মধ্যে সর্ষে বাটা বা পাউডার যোগ করে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এবার তিন থেকে চার মিনিট জ্বাল দিয়ে ঝোলটা একটু গাড় হয়ে গেলে লবন চেক করুন। লবন ঠিক থাকলে নামিয়ে ফেলুন। এবার গরম গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।
কুচো চিংড়ির বড়া :
উপকরণ :
- কুঁচো চিংড়ি ২৫০ গ্রাম
- বড় সাইজের পেঁয়াজ একটি
- রসুন চারকোয়া
- আদা এক টুকরো
- লঙ্কা গুঁড়ো আধ চা চামচ
- লবন পরিমান মত
- একটি পাতি লেবুর রস
- আমচুর বা সামান্য তেতুল সর্ষের তেল পরিমান মত।
- বেসন দুই কাপ
কুচো চিংড়ির বড়া রান্নার রেসিপি:
প্রথমে কুচো চিংড়ি ভালোভাবে ধুয়ে নুন ও হলুদ দিয়ে সিদ্ধকরে নিন। এবার এগুলিকে ভালোকরে শিলে বেঁটে নিন। পেঁয়াজ , রসুন এবং আঁদাও শিলে বেটে নিন। এখন বাটা চিংড়ি এবং বাটা মশলা এবং আমচুর বাটা একসঙ্গে মেশান। এবার একটি পাত্রে বেসন নিয়ে পরিমান মত জল নিয়ে কাদার মত করে মাখুন। এখন বেসনের সঙ্গে চিংড়ি বাটা মিশিয়ে গরম তেলে এপিঠ ও পিঠ লাল ও মুচমুচে করে ভাজুন। এবার গরম গরম পরিবেশন করুন।
আরো পড়ুন
Pingback: কলা দিয়ে আইসক্রিম বানানোর রেসিপি - ব্যানানা আইসক্রিম